ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার রাতের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (এক্স) জানায়, “হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি নৌযান থামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ওই নৌযানগুলোর যাত্রীদের নিরাপদে ইসরায়েলের বন্দরে আনা হয়েছে।”
এই বহরে থাকা আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও মানবতার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ-সহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে; তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রণের বরাতে বলা হয়েছে, গ্রেটা ও তাদের কয়েকজন সাথী শারীরিকভাবে সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।
ফ্লোটিলাটি হচ্ছে চারটি সংঘবদ্ধ সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত— ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা। গত ৩১ আগস্ট স্পেনের একটি বন্দর থেকে মোট ৪৩টি নৌযান ভাড়া করে গাজার উদ্দেশে রওনা দেয়, যেখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৫০০ জন—বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টারিয়ান, আইনজীবী, আন্দোলনকর্মী ও নাগরিক।
বুধবার দুপুর পর্যন্ত বহর ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছালে, গাজা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী চারপাশ ঘিরে ধরে ১৩টি নৌযান আটক করে। আটক নৌযানগুলোর মধ্যে কয়েকটির নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে — স্পেক্টার, অ্যালমা ও সাইরাস।
আটক নৌযানগুলোর যাত্রীরাই টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছবি-ভিডিও দিয়ে দাবি করেছেন যে তাঁরা এক শান্তিপূর্ণ মানবিক মিশনে নিয়োজিত ছিলেন এবং ইসরায়েলি নৌবাহিনীর পদক্ষেপকে নিন্দা জানিয়েছে। অনেকে তাদের পাসপোর্ট, ছবি-ভিডিও আপলোড করেছেন এবং অপহরণের অনুশীলনের মতো আচরণে অভিযোগ তুলেছেন।
আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস এ ঘটনা “অত্যন্ত উদ্বেগজনক” বলে অভিহিত করেছেন এবং শান্তিপূর্ণ মানবিক মিশনকে টার্গেট করা অনুচিত উল্লেখ করেছেন।
তবে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলের এসব অবৈধ পদক্ষেপ আমাদের মিশন থামাতে পারবে না। আমরা গাজার জন্য মানবিক করিডর খুলতে কাজ চালিয়ে যাব।” আটক ১৩টি নৌযানের বিপরীতে বহরের বাকিরা গাজা উপকুলের দিকে তাদের অভিযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।