ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন, “এবারের মতো মাফ করা হলো, তবে আবারও ভুল করলে ভারত কঠোর পদক্ষেপ নেবে।” এই ভাষণকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে। সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ তার ফেসবুক পেইজ “ভয়েস বাংলা”-তে প্রকাশিত এক ভিডিও কনটেন্টে বিষয়টি নিয়ে বিশ্লেষণ করেন।
ফিরোজ বলেন, “ভারত পাকিস্তান থেকে রীতিমতো মার খেয়ে ভূত হয়ে গেছে, কিন্তু তারা এখনও তা স্বীকার করছে না। মোদির ভাষণ পুরোপুরি অসত্য বয়ান ও মিথ্যাচারের ফুলঝুরি।”
তার মতে, ভাষণে অপারেশন সিদুরের প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিলেও সেটি মূলত এক ধরনের রাজনৈতিক কৌশল। ফিরোজ বলেন, “মোদির বক্তব্যে বোঝানো হয়েছে যে অপারেশন সিদুর শেষ হয়নি, বরং স্থগিত রাখা হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কথা বলে মোদি আসলে জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আবেগ উস্কে দিতে চেয়েছেন।
মোদির ভাষণে পাকিস্তানকে সতর্ক করা হয় যে, ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটলে ভারত শক্ত পদক্ষেপ নেবে। এছাড়া, ভারত কখনোই পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল মেনে নেবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কিন্তু মোস্তফা ফিরোজের মতে, এটি ছিল ভারতের সামরিক পরাজয়ের পর জনগণকে উত্সাহিত রাখার একটি কৌশল। তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে মাফ করার ঘোষণা দিয়ে আসলে মোদি চেষ্টা করেছেন ভারতকে বিজয়ী প্রমাণ করতে, যদিও বাস্তবে পাকিস্তান পরাজিত হয়নি।”