বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭১ কিলোমিটারজুড়ে সাতটি পথে সক্রিয় রয়েছে অস্ত্র পাচারকারীরা—এমন তথ্য উঠে এসেছে সর্বশেষ এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রুটগুলো দিয়েই নিয়মিতভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
চিহ্নিত পয়েন্টগুলো হলো—
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি ও বালুখালী কাস্টমস ঘাট,
উখিয়ার পালংখালী,
এবং টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নলবনিয়া এলাকা।
এই পথগুলো দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান চলছে বলে জানায় নিরাপত্তা সূত্র।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অন্তত পাঁচটি সংঘবদ্ধ চক্র এই অস্ত্র বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারটি সশস্ত্র সংগঠনও রয়েছে, যারা স্থানীয় ও পার্বত্য এলাকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করছে।
পাচারকৃত এসব অস্ত্রের মূল গন্তব্য কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং তিন পার্বত্য জেলার সন্ত্রাসীদের আস্তানা। স্থানীয় সূত্র বলছে, এসব অস্ত্র পরবর্তীতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত “অবৈধ অস্ত্রে বাড়ছে অস্থিরতা: ৯ মাসে গুলিবিদ্ধ ১৭০” শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে অবৈধ অস্ত্রের প্রবাহ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এতে রাজনৈতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতির ঝুঁকি রয়েছে।