মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের সাত পথে দেশে প্রবেশ করছে অস্ত্র: সক্রিয় অন্তত পাঁচটি চক্র কিশোরগঞ্জে নৌঘাটে বিএনপি নেতার চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য, প্রতিদিন ৬০০ টাকা দিতে বাধ্য মাঝিরা ট্রাম্প নয় শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো একজন দিকহারা কোচের ভুলে ডুবতে বসেছে ফুটবলের নবজাগরণ, কবে শেষ হবে এই সিন্ডিকেট? কর্মসূচি প্রত্যাহার না হলে সমন্বয়কদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল শেখ হাসিনা: আসিফ মাহমুদ ৬ বছর কি ভাই হত্যার বিচার পাওয়ার জন্য যথেষ্ট না? প্রশ্ন আবরারের ভাই আবরার ফাইয়াজের আমি একা বিসিবি নির্বাচন করলেও পাস করতাম : তামিম পবিত্র কুরআন নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্যে’ চরমোনাই পীরপুত্র ফয়জুল করিমকে লিগ্যাল নোটিশ রাশিয়ায় গিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারালেন রাজবাড়ীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নজরুল ইসলাম ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চীন থেকে ২০টি আধুনিক যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

রাজনীতিবিদরা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করছেন: সর্বমিত্র চাকমা

  • আপডেটঃ শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা অভিযোগ করেছেন, দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতারা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক মনোভাব প্রদর্শন করছেন।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন। সর্বমিত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক মন্তব্য— ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসায় পরিণত হয়েছে’—কেও কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন “এই মন্তব্য কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই অপমান করছে না, বরং আলিয়া ও কওমী মাদ্রাসার কোটি কোটি শিক্ষার্থীকে অসম্মান করা হয়েছে। যারা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ‘ট্যাগ’ ব্যবহার করে অপমান করতে চায়, তাদের বৈষম্যমূলক মনোভাব বোঝা সহজ।”

সর্বমিত্র চাকমা আরো বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মতো প্রান্তিক অঞ্চলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য হিসেবে আমি মার্জিনালাইজেশনের বেদনা স্পষ্টভাবে অনুভব করি। যারা মাদ্রাসা নিয়ে ঘৃণা ছড়ায়, তারা আমাদের স্বকীয়তা ও সংস্কৃতিকে মুছে ফেলতে চায়।”

জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আমির হামজা মুহসীন হলে আজান বন্ধ থাকার অভিযোগ তোলেন এবং দাবি করেন, শিবির ডাকসুতে জয়লাভের পর আজান চালু হয়েছে। এই বক্তব্যকে “মিথ্যা ও ভিত্তিহীন” বলে আখ্যায়িত করেছেন সর্বমিত্র চাকমা। তিনি জানান— “হাসিনার আমলে জসিমউদ্দিন হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগ আজান দিতে বাধা দিলেও জুলাই বিপ্লবের পর তা দূর হয়। তবে মুহসীন হলে এমন কোনো বাঁধার তথ্য নেই। সাম্প্রতিক ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে আজান চালুর কোনো সম্পর্কও নেই।”

তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের মিথ্যা দাবি হাসিনা আমলের কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষকে হালকা করে দেখায় এবং বিষয়টিকে হাস্যকর করে তোলে। যখন একটি রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এমন বক্তব্য দেন, তখন তাকে মনোনয়ন দেওয়া দলের নীতিনির্ধারকদের বিচক্ষণতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।”

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এ জাতীয় আরও খবর...

© All rights reserved BD News Ekattor © 2025
Website Developed By Digital Sheba Agency